রহমত ডেস্ক 16 March, 2022 10:11 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। যদি সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে না পারে, অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আর তা না হলে, এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে হটিয়ে দেয়ার জন্য আগামী দিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কোন স্বৈরাচার নিজে থেকে যায় না। তাদেরকে বিদায় করে দিতে হয়। আমেরিকাতে একটি গণতান্ত্রিক কনভেনশন হয়েছে। ১৪১টি দেশ সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি। কেন পায়নি? তারা মনে করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে বলেছে, বাংলাদেশ পরিচালনা করছে একটি হাইব্রিড সরকার।
আজ (১৬ মার্চ) বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-৫ আসনের হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, জয়নাল আবদিন ফারুক, চর হাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামাল উদ্দিন টিপু প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ কিন্তু বিশ্ব এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এরা চরম আকারে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। যার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে তারা আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি বড় বড় আর্মি ও পুলিশের কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এটা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এটার জন্য দায়ি আজকে যারা গায়ের জোরে সরকার। শুধু গায়ের জোরে সরকারে টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে শেষ করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই।
তিনি বলেন, আজকে যারা সরকার তারা গায়ের জোরে সরকার। ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকার তাদেরকে গায়ের জোরে বসিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালে জনগণ বয়কট করেছে। আজকে যারা আছে তারা বয়কটের সরকার। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। ভবিষ্যতে চিন্তা করতেছে ইভিএমের মাধ্যমে নিয়ে যাবে। আর এ দেশে এ ধরনের নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
তিনি আরোবলেন, মওদুদ আহমদ ১৫টি বই লিখেছেন। আরো দুটি বই প্রকাশিত হওয়ার বাকি আছে। তিনি বাস্তব ভিত্তিতে দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র নিয়ে এসব বইপত্র লিখেছেন। তাকে এ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। এ সরকার তাকে একটার পর একটা মামলা দিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করেছে উনার মতো মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয় নাই।